শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home ময়মনসিংহ বিভাগ কলমাকান্দায় ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার

কলমাকান্দায় ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী-পাবই সড়কের পাগলা বাজার এলাকায় একটি পাকা সেতুর মাঝের অংশ দীর্ঘদিন ধরে ধসে পড়ে আছে। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করলেও দুরপাল্লার যানসহ কোন ধরনের বাস ট্রাক চলাচল করতে পারছেনা। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সেতুর এ অবস্থা থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে এ সেতুটি নতুন করে সংস্কার করা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দার সিধলী-পাবই সড়কের পাগলা বাজার এলাকায় সেতুটির মাঝের অংশ গত ছয় মাস আগে ধসে যায়। অতিরিক্ত বালু বোঝাই একটি ট্রাক সেতুর ওপর উঠলে এ ধসের সৃষ্টি হয়। এরপর ওই সড়কে প্রায় ১২ ঘণ্টার মতো বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার লোকজন এসে সেতুর ধসের অংশে দুইটি বেইলি পাটাতন বসিয়ে যান চলাচল সচল করে। সম্প্রতি পাটাতন বসানো অংশ আরোও ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ কলমাকান্দা-ঠাকুরাকোনা সড়কটি অন্তত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। ফলে কলমাকান্দা উপজেলার লোকজন কলমাকান্দার সিধলী-পাবই সড়ক দিয়ে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে কলমাকান্দার প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সেতুটি মেরামত না করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যানচালক ও পথচারীদের। আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, নছিমন, করিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পরাপার করতে পারলেও বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের বড় গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এতে করে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ২৩ আগস্ট রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ধসের অংশে যে দুইটি বেইলি পাটাতন ছিল তা কোন কাজে লাগছে না। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কোন রকম নিশানাও টানানো নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ধরে এলাকাবাসী ও পথচারীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। তাঁরা দ্রুত এটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে।

ঘনিচা গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ তালুকদার ও প্রতীভা মডেল বিদ্যালয়ের শিক্ষক খায়রুল কবির বলেন, প্রায় ৩০ ফুট দৈঘ্য পাঁকা এই সেতুটি প্রায় দুই যুগ আগে নির্মাণ করা হয়। গত ছয় আগে সেতুর ওপরে একটি বালু ভর্তি ট্রাক ওঠায় পূর্ব দিকের দক্ষিণের অংশ ধসে যায়। এর পর থেকে বড় গড়ি চলাচল করতে পারছে না। ছোট ছোট গাড়িগুলো খুবই ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। দেখে আমারা আতঙ্কে থাকি। মাঝে মাঝে বড় যানজটের সৃষ্টি হয়।

কলমাকান্দা থেকে নেত্রকোনায় সিএনজি চালান শামিম মিয়া। তিনি প্রতিনিধিকে জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে সেতুর এই অবস্থা। এই পথ দিয়ে কোন বড় গাড়ি যেতে পারে না। কলমাকান্দা-ঠাকুরাকোনা সড়কটিও যান চলাচলের অনুপযোগী। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিন বলেন, ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে সেতুটির কিছু অংশ ধসে গেছে। ওই অংশে স্টিলের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। এটি নতুন করে সংস্কারের অনুমোদন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here