শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home শেরপুর জেলা নকলা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নকলার কামাররা
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নকলার কামাররা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নকলার কামাররা

শফিউল আলম লাভলু: আর কিছুদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। শেরপুরে নকলা উপজেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে কয়লার চুলোয় দগদগে আগুনের ফুলকি আর গরম লোহায় ওস্তাত-সাগরেদের ছন্দময় পিটাপিটিতে টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। সারা বছর অলস সময় পার করলেও ঈদ আসলে চলে তাদের কর্মব্যস্ততা

এই ঈদে গরু, ছাগল, উটকে কোরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। এদিকে দা, বটি, চাকু, চাপাতি তৈরি ও পুরনো গুলোতে শান দিতে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা। নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে চোখে পড়ে কামার শিল্পীদের পশু জবাই ও মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরি করছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যাস্ত এই এলকার কামাররা।

ঈদে এলে লোহার দাম না বাড়লেও কয়লার দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরবানির পশুর দামের উপর নির্ভর করে কামার শিল্পীদের লাভ লোকসান। গরুর দাম কম হলে লাভ বেশি হবে। আর দাম বেশি হলে কম হবে।

নকলা পৌর শহরের শাহ মো. ফুয়াদ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন আহম্মেদ বলেন, পবিত্র কোরবানির ঈদে পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য দা-বটি, ছুরি-ছোড়া, চাপাতি ধাতব হাতিয়ারের প্রয়োজন হয়। এই ঈদে বিপুল চাহিদার যোগান দিতে আরো একমাস আগে থেকেই কাজ শুরু করেছেন কামারেরা। আর কয়েকদিন থাকবে তাদের এই কর্মতৎপরতা। কামার পল্লীতে এসব ধাতব সরঞ্জামাদি বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ উপজেলার কামাররা।

কামার মোফাজ্জল হোসেন ও হাসান বলেন, বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প। একসময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে বর্তমান আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছ যার ফলে, আমাদের তৈরী যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হারাচ্ছে। হয়তোবা এক সময় এ পেশা আর থাকবে না।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here