ভোজন প্রিয় বাঙালির শীত মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম। নতুন ধানের চালের পিঠা না খেলে অসম্পূর্ণ থাকে বাঙালিয়ানা। একসময় শহর বা গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই ও তেলের পিঠাসহ বাহারি ও নানা স্বাদের পিঠা। বাড়ি বাড়ি ধুম পড়তো পিঠা খাওয়া। তবে সম্প্রতি আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউব থেকে বাড়ির মা-বোনেরা নানা রেসিপি দেখে রেসিপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছে।
ফলে দেশীয় সব পিঠা তৈরি এখন আর বাসা বাড়িতে খুব একটা তৈরি হয় না। তবে এই পিঠার মেলা বসেছে শেরপুরের শাহীন ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গনে। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে শহরের সজবরখিলাস্থ শাহীন ক্যাডেট স্কুলে প্রায় দেড় শতাধিক বাহারি রকমের ও স্বাদের পিঠার ৯টি স্টল বসেছিল। আয়োজকদের স্টলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এ পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ।
ওইসময় স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই পিঠা উৎসবে এসে পিঠা ক্রয় করে খান এবং অনেকেই বাড়ির জন্য নিয়ে যায়। মেলায় এসে শিক্ষার্থীরা বাড়ি পিঠার খেয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করেন। অনেক পিঠা প্রেমীরা মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে বাহারি সব পিঠা দেখেন এবং তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।
পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রতিটা স্টল থেকে কমপক্ষে ২০ টাকার পিঠা কিনলে একটি করে কুপন দেয়া হয়। সে কুপনে প্রথম পুরস্কার ছিল এলইডি স্মার্ট টেলিভিশন। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল, সনদ ও পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মাসুদুল আমিন শাহীন। ওইসময় শাহীন ক্যাডেট স্কুলের সজবরখিলা ক্যাম্পাসের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মাসুদুল আমিন শাহীন বলেন, স্কুল থেকে প্রতি বছরই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবার বিগত বছরের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে এবং আগামী দিনেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে।