মেহেদী হাসান শামীম : ভারতের অভ্যন্তরে শেরপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় অন্ধ প্রতিবন্ধী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দুই ইমাম এবং সাংবাদিককে জড়িয়ে মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে লাশ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে ভুক্তভোগীর আয়োজনে শহরের নিউমার্কেট তথ্যধারার সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বিএসএফ কর্তৃক নিহত ঔষধ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ভগ্নিপতি মোঃ মুকুল হোসেন কর্তৃক আদালতে দায়ের করা মিথ্যা হত্যা মামলার ভুক্তভোগী আসামীদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিল্পী বেগম।
তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ওই মিথ্যা হত্যা মামলার বাদী মুকুল হোসেন তার শ্যালক ঔষধ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে ঔষধ পাচার এবং ভারত থেকে নিষিদ্ধ ঔষধ আমদানি করাতেন। এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর কোন এক সময় ভারতের ভূখন্ডে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে রেজাউল করিম নিহত হয়। ওই নিহতের ঘটনাকে রেজাউল করিমের ভগ্নিপতি মো. মুকুল হোসেন হীনস্বার্থ চরিতার্থ এবং রেজাউল করিমকে পুজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্ধ শিক্ষার্থী মো. ফজলুল হক, দুই ইমাম এবং সাংবাদিক মারুফুর রহমানসহ ১৭ জনকে আসামি করে রেজাউল হত্যা মামলা সাজিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে আসা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এমনটাই অভিযোগ করেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট থানায় রেজাউল করিমের অপমৃত্যুর মামলা হলেও পরবর্তীতে মিথ্যা মামলার আসামীদের পরিবারের কাছে মামলার বাদী মো. মুকুল হোসেন মামলা থেকে তাদের নাম কেটে দিবে এমন কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী আসামীদের পরিবার নিহত রেজাউল করিমকে তার ভগ্নিপতি মুকুল হোসেন ওই মিথ্যা হত্যা মামলার নাটক সাজিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানান। সেই সাথে আদালত ও পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।