টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে তিনজনকে খুন এবং শত শত মানুষকে আহত করার ঘটনায় তাবলিগে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শূরাপন্থী হিসেবে পরিচিত বিরোধীরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলরন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। এ সময় তাবলিগের অন্যান্য মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘সাদপন্থীরা চরমপন্থী বাহিনী’ উল্লেখ করে কেফায়েত উল্লাহ আজহারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যোগসাজস করে সাদপন্থীদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা করেছিল। এই নীলনকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।’
সাদপন্থীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ তারিখের হামলা ও ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরে হামলার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।’
আজহারী বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শূরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।