শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home 1Win Brasil আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের
আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের

আগরতলা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের

ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে স্মারকলিপির পর এবার লংমার্চের ঘোষণা এসেছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং যুবদল আগামী বুধবার (১১ মার্চ) আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু হবে।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র, যুবক এবং স্বেচ্ছাসেবী জনতাকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত আমরা লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ১১ ডিসেম্বর সকাল আটটায় নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়ার পর আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শুরু করব এবং আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাব।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে মিডিয়ার সহযোগিতা করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লংমার্চ কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা চান তিনি। যুবদল সভাপতি বলেন, ‘আমরা তিন সংগঠন গতকাল রোববার ভারতীয় হাইকমিশনের অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
মুন্না বলেন, হাসিনার পতনের পরে ভারত কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সরকারকে বিব্রত করার সুযোগ দিয়েছে। বৃহিষ্কৃত ইসকন নেতা বাংলাদেশের নাগরিক চিন্ময় দাসের গ্রেফতার, তদন্ত ও বিচার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাহ হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে একই দাবিতে গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করে এই তিন সংগঠন। পরে ভারতের হাইকমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 1 =