শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home ময়মনসিংহ বিভাগ শেরপুর জেলা জাবি ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু: ঢাকায় জানাজা শেষে আফসানার লাশ যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি নকলায়
জাবি ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু: ঢাকায় জানাজা শেষে আফসানার লাশ যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি নকলায়

জাবি ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু: ঢাকায় জানাজা শেষে আফসানার লাশ যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি নকলায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত আফসানা করিম রাচির (২০) নামাজে জানাজা ২০ নভেম্বর বুধবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা নামাজে আফসানার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সহপাঠীসহ স্থানীয় মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করেন। পরে তার লাশ দাফনের জন্য নিজ গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চকবরইগাছি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আফসানার লাশ দাফন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফসানার বাবা রেজাউল করিম।
জানা যায়, ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় আফসানা। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সভারের এনাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আফসানার এ অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। কান্নায় ভেঙে পড়ে সহপাঠীরা। রাতেই জাবি শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাঠামোগত এ হত্যাকান্ডের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ সেশন) শিক্ষার্থী আফসানা থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া আবাসিক হলে। আফসানা ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আফসানার বাবা রেজাউল করিম পেশায় মৎস্য খামারী। ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোদালদর এলাকায় তার অনেকগুলো মাছের খামার রয়েছে। রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকার গ্রীণ রোডে বসবাস করেন। মাঝে-মধ্যে ময়মনসিংহ শহরের একটি বাসায় থেকে মাছের খামার দেখভাল করেন তিনি। খোঁজখবর নিতে আসেন গ্রামের বাড়িতেও। ৬ ভাইবোনের মধ্যে আফসানা ছিল সর্বকনিষ্ঠ।
আফসানার বাবা রেজাউল করিম জানান, আফসানার স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা। কিন্তু তাঁর সে স্বপ্ন কেড়ে নিল ঘাতক অটোরিকশা চালক। দুনিয়ার মায়ে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমাতে হল আফসানাকে।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 5 =