শেরপুরের চাঞ্চল্যকর কলেজ শিক্ষার্থী সুমন মিয়া হত্যার বিচার, জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ নভেম্বর বুধবার সকালে কলেজ গেইট থেকে মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন নিহত সুমনের সহপাঠী শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সুমন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন।
জানা যায়, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একইসাথে পড়াশোনা করেন। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার ও সুমনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন প্রেমের সুবাদে তারা দুজন একসাথে ঘুরাফেরাও করেছেন। তবে আন্নি আক্তার পরবর্তীতে রবিন নামে আরেক ছেলের সাথেও প্রেমে জড়িয়ে পড়লে তা রূপ নেয় ত্রিভুজ প্রেমে। পরবর্তীতে আন্নি সুমনকে পাশ কাটিয়ে চলতে চাইলেও সুমন আন্নিকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন বলে তার পিছু ছাড়েননি।এদিকে গত ৪ নভেম্বর বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে আনেন আন্নি আক্তার। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সুমনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে আন্নি ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। পুলিশ ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে প্রথমে আন্নি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে রবিনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে মেরে শহরের সজবরখিলা এলাকাস্থ তার বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ওইসময় আইনজীবী, শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ও নিহত সমুনের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।