শেরপুরে নিখোঁজের ৬ দিন পরও সন্ধান মেলেনি কলেজশিক্ষার্থী সুমন মিয়ার (১৭)। সুমন গত ৪ নভেম্বর রাতে শহরের কসবা বারেকপাড়া যাওয়ার পথে বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। সুমন শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কসবা বারেকপাড়া (নিমতলা) এলাকার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সুমনের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে ওইদিন রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে একই ঘটনায় সদর থানায় মোছা. আন্নি আক্তার (১৯)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম।
এদিকে গত ৬ দিনেও সুমনের কোন খোঁজ না পাওয়ায় ১০ নভেম্বর রবিবার দুপুরে তার বাবা-মা ও কলেজের সহপাঠীরা শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। ওইসময় সুমন মিয়ার বাবা নজরুল ইসলাম পুলিশ সুপারের হাতে অভিযোগ ও জিডির কপি তুলে দেওয়ার পর তিনি কান্না করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
অভিযোগে প্রকাশ, কলেজশিক্ষার্থী সুমন মিয়ার সাথে শ্রীবরদী উপজেলার কাউনেরচর গ্রামের আজিম মাস্টারের কন্যা আন্নি আক্তারও একই কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন। তবে তারা সুমন মিয়ার বাড়ির পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। সম্প্রতি আন্নি আক্তার সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সুমন এতে রাজি না হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় আন্নি আক্তারের উপস্থিতিতে আরও ২-৩ জন যুবক জোরপূর্বক সুমন মিয়াকে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে সুমন বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার মা-বাবা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওইদিন রাতে শেরপুর সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। পরে রাতেই সুমনের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় আন্নি আক্তারসহ ২/৩জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তবে ঘটনার ৬ দিন পার হলেও সুমনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে আন্নি আক্তার ঘটনার কয়েকদিন পর বাড়ি ফিরে এলেও সুমনের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলে জানায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সুমনের পরিবার।
এ বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আইন সবার জন্য সমান। এ ঘটনাতেও পুলিশ বসে নেই, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান। তারপরও বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি।