সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে সাগর ও রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। সেই থেকে প্রায় ১২ বছরে ১১১ বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।
এমন অবস্থায় গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের রোমান হত্যা মামলাটিতে আইনি লড়াই করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান। রাষ্ট্রপক্ষের পাশাপাশি শিশির মনির ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষেও আইনি লড়াই করবেন বলে জানান তিনি।
রুনির ভাই অভিযোগ করে বলেন, হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। হত্যা রহস্য উদঘাটনে আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে।
নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার পরদিন চাঞ্চল্যকর এই হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আদালত তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে বাদ দিয়ে তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।