সিলেট ও সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দুইজন, জামালগঞ্জ ও ছাতকে একজন করে মারা গেছেন। আর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে মাসুক আহমেদ (৪১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুক মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে মাসুক আহমেদ তার বাড়ির পাশের হাওরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। সেখানে বজ্রপাতের ঘটনায় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সিলেটের বিশ্বনাথে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি) শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমদ (২২) নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রেদওয়ান দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের অলিউর রহমানের ছেলে। এ সময় বজ্রপাতে আহত হয়েছে রেদওয়ানের সঙ্গে থাকা তার ছোট ভাই সুফিয়ান আহমদ।
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রোববার সকালে ৩ জন এবং শনিবার রাতে একজন মারা যান।
সকাল ৭টায় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ব্যক্তি মারা যান। তারা হলেন চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০) ও নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮)।
কাছাকাছি সময়ে ছাতক উপজেলায় মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারা যান সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের খুর্শিদ আলীর ছেলে সুন্দর আলী।
এদিকে জামালগঞ্জ উপজেলায় গতকাল শনিবার মধ্যরাতে শরিফ মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। বাড়ির পাশের নয়া হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান।
দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজ্রপাতের ঘটনায় চার জেলের মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।