শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় আহত স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলাম (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার ১৫ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত নুরুল হকের ছেলে ও মালাকোচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এর আগে ওই হামলার ঘটনায় শরিফুলের ছোটভাই শ্রমিক দল নেতা লিটন মিয়া (৪৩) নিহত হয়েছিলেন। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ জহুরুল হক (৪৮) নামে একজনকে আটক করেছে।
জানা যায়, স্থানীয় একটি মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৪ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন শিরা ও তার লোকজনের হামলায় রানীশিমুল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সহসভাপতি লিটন মিয়া, তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় হামলাকারীরা। ওই ঘটনায় নিহত লিটনের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে থানায় ২৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে শরিফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার ভোর ৭ টার দিকে আহত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে হামলায় লিটন মিয়া নিহতের পর বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা হামলা চালিয়ে আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর এবং লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Home ময়মনসিংহ বিভাগ শেরপুর জেলা শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলার ঘটনায় ছোটভাইয়ের পর আহত বড়ভাইয়ের মৃত্যু