মেহেদী হাসান শামীম : ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারী ব্যানারে চলতি অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির অংশ হিসেবে শেরপুরেও অধস্তন পুলিশ কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে। ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে শেরপুর পুলিশ লাইনে প্রায় সাড়ে ৮০০ পুলিশের এসআই, এএসআই, নায়েক ও কনস্টেবল পদের পুলিশ সদস্য কর্মবিরতির অংশ হিসেবে পুলিশ লাইনের ভেতর বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।
এ সময় আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা জানান, ‘রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত পুলিশ চাই’ সহ ১১ দফা দাবি উঠেছে পুলিশ সংস্কারের। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন না বলে জানায় তারা। সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের আন্দোলনে হত্যার শিকার পুলিশ সদস্যদের বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন না করে তাদের লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। সেই সাথে পুলিশের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা রাজনৈতিক প্রভাবে থেকে নিজেরা সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। মরতে হচ্ছে নিরীহ অধস্ত পুলিশ সদস্যদের। নিগৃহীত হতে হচ্ছে সমাজের চোখে। পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তাই তারা তাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা দেয়।
এ সময় শেরপুর পুলিশ লাইনে আন্দোলনকারী সমন্বয়ক সাব্বির বলেন, পুলিশের ব্রিটিশ আইন রহিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুলিশকে স্বাধীন অর্থাৎ রাজনৈতিক মুক্ত রেখে সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশকে সত্যিকারের জনগণের বন্ধু হিসেবে রূপান্তরিত করা হোক। তিনি আরো জানায়, ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে এসআই (নিরস্র) মোঃ আব্দুল্লাহ হাসান এর নেতৃত্বে এই আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে গতকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতি শুরু হয়। আমরা তাদের অনুসারী হয়ে শেরপুরেও আজ থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেছি।
উল্লেখ্য বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের পর শেরপুরে কিছু দুষ্কৃতিকারী শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালায়। সেই সাথে জেলা কারাগার এবং শেরপুর সদর থানা ভাঙচুর ও লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।