Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the location-weather domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidin/domains/sherpurpratidin.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wp-statistics domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidin/domains/sherpurpratidin.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidin/domains/sherpurpratidin.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার আহ্বান ছাত্রলীগের | শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home জাতীয় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার আহ্বান ছাত্রলীগের
শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার আহ্বান ছাত্রলীগের

শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার আহ্বান ছাত্রলীগের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সেগুলো হলো: আন্দোলনের নামে অনিঃশেষ অবরোধ কার্যক্রম পরিচালনা কোনোভাবেই দাবির সুষ্ঠু সমাধান নিয়ে আসতে পারে না; চলমান এইচএসসি পরীক্ষা, তীব্র দাবদাহ এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনায় সড়ক অবরোধ, নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি থেকে তা অবিলম্বে ফিরে আসতে হবে; শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার, উচ্চ আদালতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের জন্য কাজ করছে সরকারের আইনজীবী; দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে স্বাভাবিক আইনগত প্রক্রিয়ায় কোটা সংক্রান্ত জটিলতার যৌক্তিক সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের সব রকম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো বলা হয়, কোটা সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন এবং কেউই দেশের প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে নয় বিধায় আইনি প্রক্রিয়াতেই এর চূড়ান্ত, স্থায়ী, যৌক্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের দিকে এগোতে হবে; দেশের শিক্ষার্থী সমাজের নির্ভরতার প্রতীক দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাদের পাশে আছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের পাশে আছে।
এ অবস্থায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখবে এটিই সবার প্রত্যাশা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সাদ্দাম বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একই বছরের ৪ অক্টোবর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে ২০২১ সালে উচ্চ আদালতে করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এবছরের ৫ জুন হাইকোর্ট ৪ অক্টোবর, ২০১৮ এর প্রজ্ঞাপন বাতিল ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া এই রায় বাতিলের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আবেদন করেন, বর্তমানে যা বিচারাধীন রয়েছে। এরইমধ্যে গত ৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর পৃথক একটি রিটে ৫ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায় স্থগিত করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপনকে বহাল রেখে স্ট্যাটাস কো আদেশ জারি করেন। এর ফলে সরকারি চাকরিতে চলতি সময়ে আর কোনো কোটা ব্যবস্থা প্রচলিত নেই।
চলমান জনদুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় পক্ষভুক্ত হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে না ধরে বর্তমানে তথাকথিত আন্দোলনের নামে প্রকৃতপক্ষে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলছে, যা কোনোমতেই যৌক্তিক কোনো পদক্ষেপ নয়। এই আন্দোলনের কারণে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে, হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে না, জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনীয় সম্পদ যেমন তেল, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন দুরূহ হয়ে উঠছে, কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন-আন্দোলন খেলা ও হিরোইজম প্রদর্শনের এই নিম্ন মানসিকতা এদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজের প্রতি সাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
এমতাবস্থায় কোটা বাতিল/সংস্কারের জন্য দেশব্যাপী যে আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে সে সম্পর্কে পুনঃভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। কোটা সংক্রান্ত বিষয়টির সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল হওয়ার পরও একথা বিবেচনাধীন যে, আন্দোলনকারীরা সমাজ ও দেশ হতে বিচ্ছিন্ন কেউ নয়। নিজেদের দাবি ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ চিন্তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টিও তারা কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেন, সাধারণ জনগণ বনাম শিক্ষার্থী এমন একটি অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে।
বিদ্যমান প্রতিটি বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনে করে যে, কোটা ব্যবস্থায় একটি যৌক্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান ও সংস্কার আনায়ন করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কোনো হঠকারিতা নয়, তাড়াহুড়ো নয়, কোনো অবরোধ বা জিম্মি পরিস্থিতি তৈরি করে ‘স্পট ডিসিশন’ গ্রহণ করা নয়। কোটা ব্যবস্থার সময়োপযোগী সংস্কার আনয়নের জন্য একটি সমন্বিত রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রকাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থায়ী সমাধান উদ্যোগ প্রয়োজন।
বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে সাদ্দাম বলেন, ২০১৮ সাল থেকে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কারণে নারীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যায়, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অন্তরায় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি, কোটা ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের নারী সমাজ।
সর্বোপরি, যেখানে সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষার্থীতেই একজন পরীক্ষার্থীকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা প্রতিটি ধাপ পার হয়ে আসতে হয় তাই ‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। এখানে মেধার বিপরীতে মেধার প্রতিযোগিতায় সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেওয়া হয় যা পুরোপুরি ন্যায় এবং সংবিধান সম্মত।
সাদ্দাম বলেন, কোটা সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আদালতের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে জানাচ্ছে যে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক উচ্চ আদালত এদেশের মহান সংবিধানে উল্লিখিত অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান এবং সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান বাস্তবতায় কোটা নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সন্তুষ্ট হবে, দেশের প্রতিটি নাগরিককে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেবে।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 + 11 =