উচ্চ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় সড়ক অবরোধ করা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি আদালতের আদেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে দলীয় সভাপতি ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবিলম্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সর্বোচ্চ আদালতের বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সকল পক্ষকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুদের আবেগকে পুঁজি করে পুরো মহল যদি দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়, তাহলে সরকারকে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাদের বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়ে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের উপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জারি করা সরকারি পরিপত্রে এই মুহূর্তে সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা নেই।
‘আমরা গতকাল আন্দোলন অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করে সর্বোচ্চ আদালয়ের রায়ের প্রতি আস্থা রাখতে অনুরোধ করেছিলাম,’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিষয়টি নিয়ে যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার চলমান, তার প্রতি কোনো রকম সম্মান প্রদর্শন না করে আন্দোলনকারীরা তথাকথিত বাংলা ব্লকেড দিয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চারিতার্থে কোমলমতী শিশুদের ব্যবহার করছে।
বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে খায়েস পূরণ হতে দেব না।
কাদের বলেন, আমাদের অবাক লাগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যেই বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার কোনো দরকার নেই। তাদের দল মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কোনো প্রকার সম্মানবোধ নেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের বিশ্বাস নেই। তারা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষেই ছিল, তারা তার প্রমাণ দিলো।
আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন; ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।