জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ-এমপি ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, ঐতিহ্য, সাফল্য ও অর্জনের অপর নাম আওয়ামী লীগ। দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম গণমানুষের প্রিয় রাজনৈতিক দল অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার আস্থার প্রতীক। দেশের ইতিহাসে রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী-অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বা বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতেরও নির্মাতা। আওয়ামী লীগের হাত ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এসেছে দেশের স্বাধীনতা। আর তারই সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট স্বপ্নের বাস্তবায়নের পথে অগ্রসরমান।
২৩ জুন রবিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশে প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সর্বশেষ সামরিক স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ- এর প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগই।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এমএ বারেক তোতা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওলাদুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা তাতীলীগের সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সেলিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
পরে সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু এমপির উদ্যোগে শহরের নিউমার্কেট এলাকায় দলীয়-জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, দোয়া, কেক কাটা বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও এ্যাডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী জিপি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু পিপি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।