রিশতা লাবনী সীমানা’র মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে নিজ বাড়ি শেরপুরের নকলায়। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এ অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেত্রী সীমানা। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। সীমানার স্বামী ও দুই ছেলে রয়েছে। বড় সন্তান শ্রেষ্ঠ’র বয়স আট বছর আর ছোট সন্তান স্বর্গ তিন বছর বয়সী।
সীমানার বাড়ী নকলা পৌরসভাধীন কায়দা বাজারদী এলাকায়। তার বাবা সেকান্দার আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সীমানা সবার বড় ছিলেন।
সীমানার স্বজনরা জানায়, আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নকলার কায়দা বাজারদী গোরস্থান মাঠে মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
স্বজনরা আরও জানায়, গত ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সীমানা। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে দ্রুত ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে জানতে পারেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ মে এই হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাকে আইসিইউতে রাখা হলেও বুধবার থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু সেখান হতে আর ফেরা হলো না সীমানার।
উল্লেখ্য, নকলা ললিতকলা একাডেমী, খেলাঘর, কোর্টফিল্ড, কমল ওস্তাদজী, শিল্পকলায় অভিনয় চর্চা করতেন। এরপরে বিটিভিতে কাজ করা শুরু করেন। তারপর ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা।
এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তার প্রথম সিনেমা। ‘রোশনী’ নামের একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সীমানার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে সাকিন সারিসুরি, কলেজ টুডেন।
তার মৃত্যুতে নকলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।