শেরপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচিত কমিটি থাকার পরও কেবল অপছন্দের কারণে অগণতান্ত্রিক, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও ন্যাক্কারজনকভাবে অসাংবাদিকদের নিয়ে পাল্টা কমিটি ঘোষণার ঘটনায় আদালতে চলছে মামলা। ওই মামলায় আদালতের শোকজ নোটিশ পাবার পরও ২৫ মে শনিবার রাতে শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব ভবন দখলের চেষ্টা করেছে বিবদমান বিপক্ষ। পরে প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জলসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সময়োচিত পদক্ষেপের সুবাদে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তারা।
জানা যায়, সাংবাদিকদের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ২ বছর মেয়াদী কমিটির প্রায় দেড় বছর থাকতেই গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে একসাথে ডালভাত খাওয়ার অজুহাতে মতবিনিময় সভার নামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্যকে সভাপতি ও মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনায় পেশাদার ও মূলধারার সাংবাদিকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত ১৪ মে ওই পাল্টা কমিটি ঘোষণার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল। ওই মামলায় বিবাদী দেবাশীষ ভট্টাচার্য ও মেরাজ উদ্দিনের প্রতি ২৯ মে’র মধ্যে শোকজের আদেশ হয়। ওই অবস্থায় বিবাদীপক্ষ ২৫ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে ক্লাবে প্রবেশ করে এবং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অজুহাত নিয়ে কেক কাটার উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি প্রেসক্লাব কর্মকর্তার মাঝে জানাজানি হয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওইসময় প্রেসক্লাব কর্মকর্তারা ক্লাবের দিকে এগিয়ে গেলে অনুপ্রবেশকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। এরপর ক্লাবের কর্মকর্তারা ফের ক্লাবে নতুন তালা লাগান।
এদিকে আদালতে মামলা থাকার পরও প্রেসক্লাব ভবন দখলের ওই অপচেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল। তারা বলেন, আমরা পেশীশক্তিতে বিশ্বাসী নই। এজন্যই আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু তারা পেশীশক্তির জোরে রাতের অন্ধকারে প্রেসক্লাব দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এজন্য তারা জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসাথে প্রেসক্লাব রক্ষায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।