অতিবাম-অতিডান মিলে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করলেও জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এটাই আমাদের বড় শক্তি। তবে কেউ কেউ চেয়েছিল, নির্বাচন যাতে না হয়। নির্বাচন না হলেই তারা খুশি হতো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভোটের অধিকার হরণ করেছিল, তারাই এখন ভোটের অধিকারের কথা বেশি বলে। অথচ আমরাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সবসসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং সেটা প্রমাণিত সত্য। এ কারণে যত বাধা আসুক আমরা সেটা উতরে যেতে পারি। যত চক্রান্ত হোক সেটাকে পাশ কাটিয়ে আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে বিজয় নিয়ে আসি। সেটা স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে নির্বাচন সবকিছুই, সেটা প্রমাণিত।
৭ জানুয়ারি ভোটে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফল ঘটেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচন করেছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অন্য সব নির্বাচনের তুলনায় বেশি অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। ভোটে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনটাই ঘটেছে।
‘যারা গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই বলে তারাই তো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এটাই তো তারা ভুলে যায়। অনেকে নানা ধরনের কথা বলে। আজকে কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না।’-বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে গত ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরেন তিনি।