কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় প্রয়োজনে বোর্ড চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান হারুন-অর রশীদ। রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
এর আগে রাজধানীর মিরপুরে জালসনদ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যমতে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়।
ডিবিপ্রধান বলেন, জালসনদ তৈরি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তদন্তের প্রয়োজনে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন-অর রশীদ বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেবো না। আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে ছাড় দেইনি। এই চক্রের সঙ্গে যত বড় ‘রাঘববোয়াল’ জড়িত থাক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের তথ্য-উৎপত্তে যদি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমরা যেকোনো সময় তাকে ডাকবো।
তিনি জানান, গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যমতে কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮) ও ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেফতার হয়। সবশেষ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. শেহেলা পারভীনকে (৫৪) উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক মার্কশিট, জালসনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্টকে গ্রেফতারের সময় ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানিয়েছিলেন, এ কে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের অধিক জালসনদ মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে তুলে দিয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে এসব করতেন।