সরকারি চাকরিতে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সচরাচর তিন বছরের অধিক একই কর্মস্থলে থাকার নজির খুববেশি নজরে পরে না। সরকারি চাকরির বিধান অথবা জনসেবা বৃদ্ধির স্বার্থে অথবা যেকোন কারণেই হোক একজন সরকারি চাকুরিজীবীকে বদলি হতে হবে এটা স্বাভাবিক। তবে জনবান্ধব কর্মপ্রিয় কোন কর্মকর্তার বদলি হলে তা স্বাভাবিক কারনেই সাধারণ জনগণ সহজে মানিয়ে নিতে পারে না।
এমন একজন জনবান্ধব কর্মপ্রিয় প্রচারবিমুখ কর্মকর্তা শেরপুরের নকলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফ-এর বদলির সংবাদ সাধারণ জনগণের সরল মনে নাড়া দিয়েছে। তাকে নকলা থেকে জামালপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়েছে। নকলায় প্রায় ২ বছর কর্মময় জীবনে উপজেলার ভূমি বিষয়ক সেবার মানোন্নয়নে নজির সৃষ্টি করেছেন। সর্বসাধারণ নিজের বাসা-বাড়িতে বসে ভূমির সেবা পেয়েছেন। তাঁর পূর্ববর্তী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহম্মেদের অসমাপ্ত কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করতে তিনি নিরলস কাজ করছিলেন।
কাউছার আহম্মেদের শুরু করে যাওয়া দুর্নীতি ও দালালমুক্ত ভূমি অফিস গড়ার কাজটি শিহাবুল আরিফ শতভাগ বাস্তবায়ন করেছেন। বন্ধ করেছেন যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভূমি সেবা বিষয়ক সকল হয়রানি। তিনি সহজ করেছেন সকল ভূমি সেবা। বলা চলে নকলার ভূমি সেবা এখন প্রতিটি ভূমি মালিকের হাতের মুঠোয়। ভূমি মালিকরা নিজের মোবাইলের মাধ্যমেই তাদের কাঙ্খিত সেবাসমূহ সহজে পাচ্ছেন। ভূমি সংক্রান্ত জনসেবায় শিহাবুল আরিফ যেন নজির সৃষ্টি করে গেলেন। যার ফলশ্রুতিতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
জানা গেছে, শিহাবুল আরিফ নকলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ-এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএস-এ ক্যডারভুক্ত হন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ২ বছর পরে কিশোরগঞ্জে বদলি হয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সেখানে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয়বার ১ বছর পরেই তাকে বদলি করে শেরপুরের নকলা উপজেলায় দেওয়া হয়। সবশেষে চলতি বছরের চলতি মাসে নকলায় তার ২২ মাসের কর্মময় জীবন শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফকে জামালপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়।