শেরপুরের নকলা উপজেলার বাদাগৈড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সাকিব (২৪) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। ৩০ মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার শান্তিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাকিব নকলা উপজেলার বাদাগৈড় এলাকার মো. মুজা মিয়ার ছেলে।
র্যাব এর পাঠানো প্রেস রিলিজ সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাদাগৈড় গ্রামের হতদরিদ্র মাতৃহারা কন্যা। ভিকটিমের পিতা জীবিকার তাগিদে ঢাকা শহরে বসবাস করেন। সেই সুবাদে ভিকটিম তার চাচার বাসায় বসবাস করে আসছিলো। বিবাদী ভিকটিমের চাচা মো. সাকিব ২০২৪ সালের ২৭ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির শিশু সুলভ আচরণ ও সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ভাল পোশাক কিনে দিবে ও ভাল খাবার খাওয়াবে ইত্যাদি বলে অত্যান্ত সু-পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে অপহরন করে বিবাদীর বাড়ী থেকে বের করে নকলার বাদাগৈড় গ্রামের জনৈক লাল চাঁনের বাড়ীর পশ্চিম পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে রাত ৯টার দিকে আসামী মো. সাকিব ভিকটিমের ইচ্ছার বিরদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম চাচা মো. উজ্জল বাদি হয়ে ২৯ফেব্রুয়ারি নকলা থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার পর থেকে আসামী সাকিব গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী’র নেতৃত্বে এবং মেজর এ.কে.এম ফয়সাল, র্যাব-৯, সিপিসি-৩, তাহেরপুর, সুনামগঞ্জ এর উপস্থিতিতে র্যাবের একটি যৌথ অভিযানিক দল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামী সাকিবকে শনিবার সন্ধ্যায় নকলা থানায় সূত্রোক্ত মামলা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-১৪ এর জামালপুর কোম্পানী অধিনায়ক মো. আবরার ফয়সাল সাদী জানান, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।