শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ, রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ, রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ, রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে ‘অযৌক্তিক’ বিষয়বস্তু রয়েছে দাবি করে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে গাজার সর্বদক্ষিণের নগরী রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন তিনি। ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
হামাসের পক্ষ থেকে ৪২ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয় ইসরায়েলকে। এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে ‘অযৌক্তিক’ দাবি-দাওয়া রয়েছে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, রাফাহ শহরকেন্দ্রিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যে পরিকল্পনা করেছে তা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের হামলা শুরু করলে ব্যাপক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাজাজুড়ে মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে।
ইসরায়েলি হামলার অনুমোদন করার প্রেক্ষাপটে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বিয়েরবক এক্সে (আগের যার নাম ছিল টুইটার) বলেছেন, রাফায় বড় ধরনের হামলা যৌক্তিক হতে পারে না। সেখানে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই। আর লোক যাতে না মরে এবং পণবন্দীরা যাতে মুক্তি পেতে পারে, সেজন্য অবিলম্বে মানবিক অস্ত্রবিরতি প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোপূর্বে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া হামলা চালানো হবে ‌’রেড লাইন’ অতিক্রম করা।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × five =