স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় শেরপুরে কর্মসংস্থানের আওতায় আসছেন ৭৫৬ হতদরিদ্র নারী। উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও নকলা উপজেলার ৯ ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে ৩৬ জন করে ওইসব নারী সুবিধা ভোগ করবেন। ১২ মার্চ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় দিনব্যাপী আয়োজিত জেলা অবহিতকরণ কর্মশালায় ওই তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও স্বপ্ন প্রকল্পের পরিচালক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। ওইসময় তিনি বলেন, গ্রামীণ হতদরিদ্র নারীদের বিশেষ করে উপকূলীয় ও খাদ্য ঘাটতিপ্রবণ চরম দরিদ্র অঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় নারীদের দারিদ্র্য ফাঁদ হতে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ওই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এতে সারাদেশের ৩২ উপজেলার ২৮৩ ইউনিয়ন ওই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। ৩ বছর মেয়াদী ওই প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী হতদরিদ্র নারীরা দৈনিক ২৫০ টাকা হারে মজুরি পাবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও উপসচিব) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান, জেলা খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক লুৎফুল কবীর, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, ইউপি সচিব আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রকল্পের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. আহমেদুল কবির আকন্দ, প্রকল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিশ্লেষক মো. জিএফ রব্বানী, শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমির আলী ও শেরপুরের সন্বয়কারী সাবিনা ইয়াসমিন।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রকল্প এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবগণসহ ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।