পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আমরা প্রতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থাকি। বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কে, কখন, কোথায়, কীভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় পুলিশের কন্ট্রোল রুমে নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটা দল দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। গ্রুপ ও সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের মাঝে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, বর্তমানে নিরাপত্তার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ঠেকাতে প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল দল প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি টিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা সেট করা হচ্ছে। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে পুলিশ সদস্যরা থাকবে। ইজতেমাস্থলে যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। নিরাপত্তা পরিকল্পনা
শুধুমাত্র যে ইজতেমাস্থলে তা কিন্তু নয়। এ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকা, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা জেলা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবাই মিলে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা বিভিন্ন ইউনিট র্যাব, টুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান আছে আমরা সকলে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিককল্পনা গ্রহণ করেছি।
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছি। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট যদি আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্টোলিং জোরদার করা হয়েছে।