আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মানবাধিকার দিবসে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা এ বিশৃঙ্খলা করতে চায়। বিএনপি এখন জামায়াতের বি টিম হিসেবে কাজ করছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ মানবাধিকারের নামে নির্বাচনবিরোধী সবগুলো দল ঐক্য। বিএনপি জনসম্পৃক্ততার অভাবে যে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, এখন অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা দিয়ে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। মানবাধিকার দিবসে সারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির প্ল্যান নিয়ে তারা এগোচ্ছে। এজন্য জামায়াতকে তারা একান্ত পাশে চায়। তিনি বলেন, আমরা খোঁজ-খবর নিয়েই কথা বলছি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের জানার স্কোপটা বেশি।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে ভূমিকা থাকবে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এখন সরকার শুধু একটি রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের কাজ হচ্ছে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। আমরা সেটা করে যাচ্ছি।
১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে, সেহেতু আমরা সমাবেশ করব না। তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখানে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ি। মিলিটারি ডেকটেটররা অনেক সময় নিজেদের গণতান্ত্রিক দাবি করে। পৃথিবীতে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বিরল।
তিনি বলেন, আমরা শত বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতার মুখেও এখনো গণতন্ত্রের পতাকা ধরে রেখেছি, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে ধারা শুরু করেছেন, ’৭৫ এরপর যে ধারা নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসে গণতন্ত্রের ধারা ঠিক করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।