শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home ময়মনসিংহ বিভাগ শেরপুর জেলা স্মার্ট কৃষিতে সেজেছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ
স্মার্ট কৃষিতে সেজেছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ

স্মার্ট কৃষিতে সেজেছে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদের পতিত স্থানকে কৃষিতে কাজে লাগিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এক ইউনিয়ন মেম্বার। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা ৭নং নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অভ্যন্তরে ৫০ শতাংশ জমিসহ পরিষদের ছাদ পর্যন্ত কৃষির রুপ দিয়েছেন আবু জাফর বাবু নামের এক সৌখিন কৃষি প্রেমিক। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, সবজি চারা রোপন করে ইউনিয়ন পরিষদের ছাদসহ ইউনিয়ন পরিষদের অভ্যন্তরে পতিত স্থানকে দিয়েছেন যেনো এক সবুজের রুপ। ইউনিয়নে পরিষদের দিকে তাকালে মনে হয় এ যেনো কৃষি নির্ভর দেশের এক প্রতিচ্ছবি। শুধু তাই নয় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই কৃষি ছাদ বাগান এবং সবুজে ঘেরা এই ইউনিয়ন পরিষদ দেখতে ছুটে আসছে।
এ ব্যাপারে আবু জাফর মেম্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই ঘোষণা, যেখানে তিনি বলেছেন দেশের কোথায় এক ইঞ্চি জায়গা অনাবাদি রাখা যাবে না। ঠিক এই কথাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ- এর অনুমতিক্রমে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতায় আমি এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এবং আমার এই বাগান তৈরিতে কোনো প্রকার বিষ বা সার ব্যবহার করা হয় নি। শুধু তাই নয় নিয়মিত এই এলাকার মানুষ আমার এই বাগান থেকে বিভিন্ন রকম সবজি এবং শাক ও বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে যাচ্ছে বিনা মূল্যে। আমার এই উদ্যোগ গ্রহনে আমি খুব প্রশংসিত হয়েছি। আমি চাই এভাবেই দেশের প্রত্যেক ইঞ্চি অনাবাদি জায়গা কৃষি নির্ভর হয়ে উঠুক।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা নালিতাবাড়ীর প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদকে স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদ করার লক্ষ্যে সার্বিক চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে উপজেলার ৭নং নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদকে স্মার্ট কৃষিতে রুপ দিতে সক্ষম হয়েছি। শুধু তাই নয় যে কোনো প্রতিনিধিগণ যদি তাদের প্রতিষ্ঠানকে এই কৃষির রুপ দিতে চান তাহলে আমরা সেই দিকেও সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো।
এই উদ্যোগ গ্রহনে খুব প্রশংসিত হচ্ছে আবু জাফর বাবু । আবু জাফরের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রহুল আমীন।আবু জাফরের এই উদ্যোগ এতোই আলোড়ন সৃষ্টি হয় যা শুনে শেরপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় ও দেখতে আসেন এই কৃষিতে স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদটি৷ উপজেলার তরুন ও শিক্ষিত যুবক যদি এই স্মার্ট কৃষিতে উদ্যমী থাকে তাহলে তাদেরকেও সহযোগিতা করবো। তবে আমি চাই এভাবেই দেশের প্রত্যেক ইঞ্চি অনাবাদি পতিত স্থান কৃষি নির্ভর হয়ে উঠুক যা এই দেশকে বিশ্ব দরবারে এক অনন্য আলোড়ন সৃষ্টিতে প্রশংসিত করে তুলবে বলে আমি মনে করি।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 + eleven =