আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থী দিতে চায় তৃণমূল বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন সেই ক্ষমতা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয় এবং প্রতিটি দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে দাবি করেছে দলটি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবো। আমরা আশা করি প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী দিতে পারবো। সেই প্রার্থী জনগণের সম্মতি নিয়ে, জনগণের ভোট আদায় করে সংসদে বসতে পারে এবং তৃণমূল জনগণের কথা সংসদে বলতে পারে। তৃণমূল বিএনপি মাঠে নামবে, আপনাদের বক্তব্য শুনবে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল বিএনপি মানে সাধারণ মানুষের বিএনপি। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ যারা দিন আনে দিন খায়। আজ দেখছি আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা আন্দোলন করছে কারণ দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তারা যে বেতন পায় তাতে দু’বেলা খাবার জোটাতে পারে না। আমরা দাবি করছি তারা যেন তাদের ন্যায্য বেতন পায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা হত্যার রাজনীতিকে বিশ্বাস করি না। সেটা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হোক আর পেট্রোলবোমা মেরে মানুষকে হত্যা করা হোক। তৃণমূল বিএনপির মূল লক্ষ্য সুস্থ রাজনীতি হবে সুশাসনের ভিত্তি। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে আপনারা এতজন আমাদের দলে যোগদান করেছেন আমি অত্যন্ত গর্বিত। আগামীতে আমরা জেলায় জেলায় না পারলেও বিভাগীয় শহরে গিয়ে আপনাদের বক্তব্য শুনবো। আপনারা সবাই তৃণমূল বিএনপির নেতা। তৃণমূল বিএনপির একজন নেতা হতে পারে না। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দলের শতাধিক নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা, তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন ও মিডিয়া উইং চিফ সালাম মাহমুদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান। সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার।