শেরপুর গারো পাহাড় সীমান্তে একদল বুনো হাতি স্থানীয় কৃষকের আধা-পাকাধান ক্ষেতে নেমে ধ্বংস করেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চিন্তিত কৃষক। এই জমিতে সর্বস্ব অর্থ ব্যয় করে আমন আবাদ করেছিলেন তিনি। আর কয়েকদিন পরেই ঘরে তুলতো সেই ফসল। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না কৃষকের। ৩ নভেম্বর শনিবার ভোর রাতে এক দল বুনো হাতির তার ক্ষেতের সমস্ত ফসল খেয়ে একেবারে শেষ করে দেয়।
জানাগেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাপানি পাহাড়ি অঞ্চলে দুই পাহাড়ের মাঝখানে কৃষক রমজান আলী দেড় একর জমিতে ধান আবাদ করেন। অনেক কষ্টে ঋণ ধার করে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এ ফসল আবাদ করেছিলেন। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই যে ধান উঠতো কৃষকের গোলায় রাতের আঁধারে হাতির দল নামে সেই ক্ষেতে অর্ধ-পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। পা দিয়ে মাড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় সব। সকালে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষাণ-কৃষাণী ক্ষেতের পার্শ্বে এসে হতাশায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় পাহাড়িবাসী হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
প্রতি বছর এই ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে বুনো হাতির দল তাদের ফসলি জমি বিনষ্ট করে যাচ্ছে। হাতির আক্রমণ থেকে কোনো ভাবেই রক্ষা পাচ্ছেনা পাহাড়িবাসী। তাই এখন নির্ঘুম রাত কাটায় তারা। সেই সাথে সরকারের কাছে স্থায়ী সমাধান চায় পাহাড়বাসী।
এবিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রফিকুল ইসলাম জানায়, বুনো হাতি শুধু কৃষকের জমিই নয়, আমাদের ইকোপার্কের ভিতরেও প্রবেশ করেছিলো। আমরা তাড়িয়ে দিলে রাতে কালাপানি গ্রামের ওই জমিতে যায়। সরকার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবেদন করলে তাকে ক্ষতিপুরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।