৮১.৫ কোটি ভারতীয়দের করোনা পরীক্ষার স্পর্শকাতর তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি এমন দাবি করে হৈচৈ ফেলেছে ‘wn0001’ নামের এক হ্যাকার।
এই বিরাট অংশের ভারতীয়দের চুরি যাওয়া তথ্যগুলো ডার্ক ওয়েবে নিয়ে এসে তার বিজ্ঞাপনও দিয়েছে ওই হ্যাকার। খবর টিভি৯ বাংলা ডটকমের।
এখন সত্য়িই যদি আশি কোটিরও বেশি ভারতীয়ের তথ্য ফাঁস হয়, তাহলে ভারতের ইতিহাসে তা সবথেকে বড় ডেটা ব্রিচের ঘটনা। কিন্তু কী কারণে এত সংখ্যক ভারতীয়ের ডেটা অনলাইনে ফাঁস হল, কোথা থেকেই বা হল? সেই কারণটা জানলে সত্যিই শিউরে উঠতে হয়।
কোভিড-১৯ টেস্টিংয়ের সময় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর দ্বারা সংগৃহীত ভারতীয়দের তথ্যগুলো থেকেই এই ডেটা লিকের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই তথ্য চুরির এপিসেন্টার এখনও অজ্ঞাত।
হ্যাকারের তরফে যে তথ্য শেয়ার করা হয়েছে, তাতে ভারতীয়দের আধার ও পাসপোর্টের তথ্য যেমন রয়েছে, তেমনই আবার কোটি-কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানার মতো স্পর্শকাতর তথ্যগুলোও রয়েছে। হ্যাকারের দাবি, কোভিড ১৯ টেস্টিংয়ের সময় আইসিএমআর ভারতীয় নাগরিকদের যে সব তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছিল, সেগুলোই রয়েছে এখানে।
ডেটা ব্রিচের এই ঘটনাটি নিয়ে সর্বপ্রথম আলোকপাত করে সাইবার সিকিওরিটি ও ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ মার্কিন সংস্থা রিসিকিওরিটি। গত ৯ অক্টোবর হ্যাকার ‘pwn0001’ এই ডেটা লিকের বিষয়টি প্রথম Breach Forums নামের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে। সেখানে বিজ্ঞাপন দিয়ে হ্যাকার লেখে, ‘৮১৫ মিলিয়ন ভারতীয় নাগরিকের আধার ও পাসপোর্টের সব তথ্য এখানে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তের ভারতের মোট জনসংখ্যা ১.৪৮৬ বিলিয়ন বা ১৪৮.৬ কোটির সামান্য বেশি।
মার্কিন সংস্থা রিসিকিওরিটির গবেষকরা জানতে পেরেছেন, ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে ১ লাখ এমন ফাইল রয়েছে, যেখানে ভারতের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। সেই সব তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করা গিয়েছিল একটি সরকারি পোর্টালের ‘ভেরিফাই আধার’ বৈশিষ্ট্যের ব্যবহার করে।
নিউজ ১৮ এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিএমআর ডেটা ব্রিচ সম্পর্কে সতর্ক করেছে দ্য কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।