আমাদের বেশিরভাগেরই লবণ বেশি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। আপনিও কি লবণ বেশি খান? একটু খেয়াল করে দেখুন তো দিনে কতটুকু লবণ খাচ্ছেন। বেশিরভাগই দৈনিক গড়ে আট গ্রাম লবণ খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোট পাঁচ গ্রাম লবণ খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি লবণ খাওয়া মোটেই কোনো কাজের কথা নয়।
আপনি যদি অতিরিক্ত লবণ খান তাহলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে পেট খারাপের মতো আরও অনেক সমস্যা। অতিরিক্ত লবণ খেলে তা কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে লবণ পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ আমাদের প্রতিদিনের চাহিদার ভেতরে পাঁচ গ্রামের মতো লবণ রাখতে হবে। নয়তো সমস্যা দেখা দেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, লবণ বেশি খেলে শুধু রক্তচাপই বাড়ে না, সেইসঙ্গে পেটে আলসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। এর ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে হু হু করে। অতিরিক্ত লবণ খেলে তা হার্টের কার্যক্ষমতার উপরেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই।
আমাদের কিডনির কাজ হলো রক্তের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেওয়া। কিন্তু লবণ বেশি খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেই কিডনির কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে ধীরে ধীরে একটা সময় কিডনি বিকল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সেজন্য কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ থাকা এবং রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে শুরুতেই লবণ খাওয়ার উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার। কারণ এ ধরনের খাবারে লবণের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এর ফলে অজান্তেই আমাদের শরীরে অনেকটা লবণ প্রবেশ করে। যা পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্য যেকোনো খাবার কেনার সময় গায়ের লেবেলে লেখা উপাদানের পরিমাণ পড়ে নিতে হবে। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, কোন খাবারে কতটা সোডিয়াম রয়েছে। বাড়িতে পরিমিত লবণ দিয়ে খাবার তৈরি করুন। বাইরের খাবার এড়িয়ে সব সময় বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে কম সোডিয়াম প্রবেশ করবে। ফলে সুস্থ থাকা সহজ হবে।