মাঝ আকাশে জরুরি বহির্গমন দরজা খোলার চেষ্টা করায় বিমানের এক যাত্রীকে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই যাত্রী মাদক গ্রহণ করে এমন অসংলগ্ন আচরণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার ফিলিপাইন থেকে দক্ষিণ কোরিয়াগামী জেজু এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ১৯ বছর বয়সী এক কোরিয়ান যুবক ভ্রমণ করছিলেন।
বিমানটি উড্ডয়নের এক ঘণ্টা পর তিনি ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করা শুরু করেন। তখন ‘নজর রাখতে’ ক্রুরা জরুরি বহির্গমন দরজার পাশের সামনের একটি আসনে এনে তাকে বসান। তখন ওই যুবক বুকে চাপ অনুভব করার কথা জানান।
আসনটি বদলে সামনে নেওয়ার পরই হঠাৎ করে তিনি দরজার কাছে চলে যান এবং এটি খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ক্রুরা তাকে ধরে ফেলেন।
ওই যুবক যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারেন তাই তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জেজু এয়ারলাইন্স।
বিবৃতিতে এয়ারলাইন্সটি আরও জানিয়েছে, ওই সময় বিমানের ভেতর ১৮০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিমানটি সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ইনচন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক পরীক্ষায় তার মাদক গ্রহণের বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে ঠিক কতটা মাদক গ্রহণ করে তিনি বিমানে চেপেছিলেন সেটি জানতে দুই এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এদিকে ওই যুবককে যখন গ্রেপ্তার শুনানির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি অসংলগ্নভাবে সাংবাদিকদের জানান, তার মনে হয়েছিল কেউ তাকে হামলা করেছে।
সূত্র: সিএনএন