দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বুধবার (২১ জুন) সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় ধীর গতিতে চলছে ভোট কার্যক্রম। সিলেট নগরীর অলিগলিতে এখন উৎসবের আমেজ।
সরেজমিনে নগরীর ১০, ১২, ৭, ৮ ও ১১ ওয়ার্ডে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। পুরুষ ভোটারদের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে উৎসুক জনতার ভিড়। রিকশায় কিংবা হেঁটে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ভোটগ্রহণের পূর্বে সাধারণ ভোটারের মধ্যে ইভিএম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারছেন ভোটাররা। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বেশ কৌতূহলী।
সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট দিতে আসা এক তরুণ বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছি।
নগরীর মধুশহীদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার প্রদীপ চন্দ্র সোপ জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবারই প্রথম ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। মূলত মেয়র প্রার্থীদের ভোটের চেয়ে ভোটারদের আগ্রহ বেশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে।
সিলেটে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।
এছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭২ জন, আর ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট সিটির মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন, হিজড়া ৬ জন।