দেশীয় ফল উৎসব সময়োপযোগী উদ্যোগ। কর্মব্যস্ততার মধ্যেও মনকে আনন্দিত রাখে এ আয়োজন। ফল উৎসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারের ফলেরও একটি সর্ম্পক রয়েছে। পুঁজিবাজারে যদি ভালো শেয়ার আসে তবে ভালো ফল পাওয়া যাবে। লাভবান হবে বিনিয়োগকারীরা। আর যদি সব সময় খারাপ শেয়ার আসে। তবে পুঁজিবাজারে কখনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না।
বুধবার (২১ জুন) পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বতে ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক এবং বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াদ মতিন, বিএমবিএর কার্যকরী পরিষদের সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত সবাই সিএমজেএফের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং সাধুবাদ জানান।
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ২০১০ সালের ধাক্কা এখনো কোনো ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ডিএসইর ২৫০টি ব্রোকারেজের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি মোটামুটি ভালোভাবে চলছে। বাকিগুলো কোনোরকমে বেঁচে আছে। আর নতুন যে ব্রোকারেজ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি কার্যক্রম চালু করেছে, বকিগুলোর কোনো খোঁজ নেই। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ফল মানে মুনাফা বা লাভ করা। কিন্তু সেই ফলের আসায় লোভ করা যাবে না। বেশি লাভের আশায় লোভ করলে পরে বড় লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
বাজারে ভালো ফলের জন্য ভালো শেয়ার প্রয়োজন জানিয়ে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ফল আসবে ভালো শেয়ার থেকে। কিন্তু বর্তমানে যেসব আইপিও আসছে, সেগুলোর কোনোটিই ভালো না। পচা ও খারাপ কোম্পানি আয় বেশি দেখিয়ে আসে। কোম্পানির শেয়ারের দাম যেটা হওয়া দরকার তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দিয়ে আনা হয়। এভাবে আইপিও এলে বাজার কখনো ভালো হবে না। বরং আরও খারাপ দিকে যাবে বলে তিনি জানান।
রিয়াদ মতিন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের কাজে স্পৃহা জোগাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়াউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো বিকাশমান অর্থনীতিতে মূলধনের জোগান দিতে পারে শক্তিশালী পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজার ডমিনেন্ট হতে পারে বা ড্রাইভ দিতে পারে– এমন অর্থনীতি আমাদের হয়নি। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে প্রয়োজন অর্থের। পুঁজিবাজার সেই অর্থায়নের উৎস হতে পারে। আমরা সেদিকে যাব, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আমাদের অভিযাত্রা শুরু হবে।