শেরপুর প্রতিদিন ডট কম

Home শেরপুর জেলা নালিতাবাড়ি বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে বন্য হাতি আতংক
বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে বন্য হাতি আতংক

বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে বন্য হাতি আতংক

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীর বসবাসকারীরা গত তিনদিন ধরে হাতি আতঙ্কে দিনরাত পার করছেন। গত রোববার ১৮ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় বন্য হাতির দল খাবারের সন্ধানে ধর্মপল্লীর সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। হাতির দল তান্ডব চালিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় গাছের কাঁঠাল ও কলাগাছ খেয়ে সাবার করেছে।
ধর্মপল্লী সুত্র জানায়, বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর সংরক্ষিত এলাকার পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে কাটাতারের সীমানা প্রাচীর দুমরে মুচরে টিনের বেড়া পা দিয়ে পিষে বিনষ্ট করে। সেই সঙ্গে ভেঙে চুরমার করে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে স্থাপিত ক্রুশ। খেয়ে সাবাড় করে গাছের কাঁঠাল। ধ্বংস করে সবজি বাগান ও কলাবাগান। ভেঙ্গে ফেলে গাছপালা। ধর্মপল্লীর হাসপাতালের টিনের প্রাচীর ভেঙে হাতির দল শূড় দিয়ে পেচিয়ে তুলে ফেলে সাব মার্সেবল পাম্পের পানির লাইন। গুড়িয়ে দেয় পানির লাইনের লোহা ও প্লাস্টিকের পাইপ। প্রায় ১৫/২০টি হাতি সারারাত এই তান্ডব অব্যাহত রাখে। পরে একপর্যায়ে খড়ে আগুন ধরিয়ে, টিনে শব্দ করে ও পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়ানো হয়।
এলাকাবাসী জয়নাল মিয়া জানান, বন্য হাতির পাল সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে চলে আসে লোকালয়ে। আবার দিনের বেলাও মাঝে মধ্যে তান্ডব চালায় হাতির দল। হাতি তাড়াতে প্রয়োজন চার্জার লাইট ও মশাল। আর মশাল জালাতে দরকার কেরোসিন তেল। লাইট বা তেল সরবরাহ করেননা কেউ। তাই হৈ হুল্লুর করলেও হাতি এখন আর ভয় পায় না।
বারোমারী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, বন্য হাতি বর্তমানে কোনো বাধাই মানে না। গত তিনদিন ধরে হাতি আতঙ্কে ও আক্রমণে ধর্মপল্লীতে বসবাসকারীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। জরুরী ভিত্তিতে সরকারী উদ্যোগ গ্রহন করা দরকার।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here