গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়ি থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনকে আটক করেছে পুলিশ। এত রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে লিমনের প্রবেশের খবরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ লিমনকে আটক করে।
রোববার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে লিমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের ভাগ্নে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন তার মামা কাউন্সিলর প্রার্থীর আব্দুল হামিদ সরকার টেকনের পক্ষে অবস্থান নিতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়িতে যান। লিমন টাকার ব্যাগ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে ঢুকেছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন ওই নেতাকে বাড়িতে আটকে রাখেন।
পরে খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এরপর সেখানে যান পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনও। খবর পেয়ে লিমনের বাবা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ পরিবারের সদস্য ও তার সমর্থকরা সেখানে এলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন ও অপরিচিত আরেকজন একটি ব্যাগ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এলাকাবাসী বুঝতে পেরে বাড়িটি ঘেরাও করলে অপরিচিত ওই ব্যক্তিটি ব্যাগ নিয়ে কৌশলে চলে যান। এরপর লিমন আটকা পড়ে যান।
তবে টাকার লেনদেনর কথা অস্বীকার করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন। তিনি দাবি করেন, লিমন নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এসেছিল। তবে তার সঙ্গে কোনো টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা লিমনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।