বরিশাল-খুলনায় প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন নব-নির্বাচিত দুই মেয়র। গতকাল সোমবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বরিশালের নতুন মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। আর তৃতীয়বারের মতো খুলনা সিটির মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। একটানা দুবার জিতলেন তিনি।
বরিশালে মোট ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। নির্বাচনি ইশতেহারের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র।
খুলনায় সোমবারের নির্বাচনে তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। দুজনের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৯৪ হাজার ৭৬১। ফল ঘোষণার পর নগরীর উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন এই নব-নির্বাচিত মেয়র।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঘোষণা হয় বরিশাল সিটি নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল। প্রত্যাশিত জয় পাওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েন নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।
বরিশাল সিটির নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ বলেন, আয়তনে ছোট বরিশাল সিটিতে এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট হয়। দ্রুত ফল ঘোষণায় খুশি প্রার্থী ও ভোটাররা। জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বরিশালবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
জনগণ তাকে সমর্থন দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নতুন মেয়র।
বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫। ভোটদানের হার ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাত জন।
আর খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। এ সময় উল্লাসে মেতে ওঠেন তার সমর্থকেরা।
১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার খালেক। ফল ঘোষণার পর ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। যদিও ফল ঘোষণা শুরুর পরে, অনিয়মের অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা। খুলনা সিটিতে এবার ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক এক-সাত শতাংশ।